সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
‘ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায়’ দুদকের এই সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের নেতা ফানাফিল্যার আবেদনে ডিআইজি মিজানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশের ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদে অনুসন্ধান দলের নেতা ফানাফিল্যাকে দলের আরেক সদস্য দুদকের সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন সহযোগিতা করেন।”
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনুসন্ধান তদারক কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক নিরু শামসুন নাহারও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
এর আগে ১ জুলাই ডিআইজি মিজান অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আগাম জামিন নিতে আবেদন করলে হাই কোর্ট তা নাকচ করে ডিআইজি মিজানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলার আরেক আসামি ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান নিম্ন আদালতে গত ৪ জুলাই আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৪ জুন মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান এবং ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে।
এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজেই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ফাঁস করেন ডিআইজি মিজান।
এ ঘটনায় শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করে দুদক।