ধানমণ্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে সোমবার তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুল হান্নান খান।
এটি তদন্ত সংস্থার ৭১তম প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠে এসেছে তদন্তে।
“মক্তিযুদ্ধের সময় সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লায় আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠিত করে। ১১ আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পাঁচজন পলাতক।”
আব্দুল হান্নান খান বলেন, “গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে মো. আব্দুল আজিজ আগে বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। বাকিরা বিএনপির সমর্থক। মো. জাকির হোসেন শাল্লা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।”
তদন্তের স্বার্থে পলাতকদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না জানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন বলেন, ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১২ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু হয়।
“হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।”
দেড়শ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি তিনটি ভলিউমে প্রস্তুত করা হয়েছে। তদন্তের সময় ৩২ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তাসহ মামলায় সাক্ষী ৩৩ জন।