পিছিয়ে গেল হাঙ্গার প্রজেক্ট কর্মী অহিদ হত্যা মামলার রায়

ছয় বছর আগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের’ কর্মী মো. অহিদুজ্জামান (২৮) হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে গেছে। আগামী ১৯ জুন রায়ের নতুন দিন রেখেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2019, 09:16 AM
Updated : 16 June 2019, 09:16 AM

রোববার এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু রায় পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল নতুন দিন রাখেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালের ৮ মার্চ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা এলাকার কাশিমপুর চরদিঘলিয়ার শাহপাড়া গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে মাদারীপুরের অহিদুজ্জামানের লাশ পাওয়া যায় ।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন সিঙ্গাইর থানার এসআই আ. ছালাম।

তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মানিকগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মদন মোহন বণিক।

আসামিরা হলেন, মাদারীপুর সদরের কুকরাইল এলাকারিইতালি প্রবাসী মহিউদ্দিন দর্জি (পলাতক), রেজাউল বেপারী (পলাতক), কালকিনির লেলিন বেপারী, কুকরাইলের শাহাবুদ্দিন দর্জি, মো. সেলিম ও ফয়সাল আমেদ।

আসামিদের মধ্যে লেলিন, শাহাবুদ্দিন, সেলিম গ্রেপ্তারের পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেলিম মারা যান।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অহিদ ইতালি যাওয়ার জন্য আসামি রেজাউলের মাধ্যমে মহিউদ্দিনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু অহিদকে ইতালীতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে অহিদ তার টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

মহিউদ্দিন ও রেজাউলের পরিকল্পনায় ২০১৩ সালের ৬ মার্চে সকালে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে অহিদকে সাভারে ডেকে নেন আসামি শাহাবুদ্দিন, লেনিন ও সেলিম। অহিদকে বলা হয় সাভারের একজনের কাছে মহিউদ্দিন ইতালি থেকে টাকা পাঠিয়েছেন।

অহিদ সাভারে পৌঁছালে তার পরনের জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। লেলিন, শাহাবুদ্দিন, সেলিম, ফয়সাল সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

এ মামলায় আদালতে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মহবুবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেন মাতবরের ছেলে অহিদুজ্জামান মাদারীপুর আইন মহাবিদ্যালয়ে আইন এবং সরকারি নাজিম উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ে এমএ পড়ার পাশাপাশি হাঙ্গার প্রজেক্টে খণ্ডকালীন কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার মামা শেখ মো. হাবিবুল হক।