মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ‘মিথ্যাচার’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2019, 09:54 AM
Updated : 12 June 2019, 10:55 AM

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিবিদদের ব্রিফিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মিয়ানমার বলেছে, বাংলাদেশের কারণে নাকি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ এ বিষয়ে এক পায়ে খাড়া!”

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর ২০১৭ সালের অগাস্ট থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার আগে গত কয়েক দশকে এসেছে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করার পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা না ফেরায় এবং তারা কেউ ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যায়।

গত মে মাসের শেষে জাপানে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলনের একটি সেশনে মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ অসহযোগিতায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

এই প্রেক্ষাপটেই বুধবার বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে ব্রিফ করেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার এরকম ‘ডাহা মিথ্যা’ কথা বলে। প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে তাদের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু ৮০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র দুটির পরিস্থিতি তারা ভালো দেখিয়ে বলছে, সেখানে কোনো সমস্যা নেই। তারা ‘কথা রাখেনি’।

মিয়ানমার বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে ‘মিস ইনফরমেশন’ ছড়ায় অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, “তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।”

বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। 

“আমরা বলেছি, আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি।”

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, কানাডা, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।