মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ছিলেন।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাঁচদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, “যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয় সেখানে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে, এর শাস্তি হওয়া উচিত অন্য ঘটনায় যে শাস্তি হয় এর চেয়ে দ্বিগুণ।”
যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়, সেক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির বিধান করব। এ ব্যাপারে কোনো আপস করব না।”
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবি জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি দীপিকা রাণী সরকার।
তিনি বলেন, “এই দেশে নারীর মর্যাদাকে বারবার লুন্ঠণ করা হচ্ছে। এই নরপিশাচের (নুসরাতের মাদ্রাসার অধ্যক্ষ) আমি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।”
তিনি আরও বলেন, “নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী নির্যাতন সেল থাকা উচিত। এ সেল প্রতিনিয়ত সরকারের মনিটর করা উচিত।”
সমাবেশে নীল দলের সভাপতি জাকারিয়া মিয়া, সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা বক্তব্য দেন।