বাবা মোহাম্মদ আলী আর এক চাচা অপু রায়হানের সঙ্গে বুধবার আগুনে পুড়ে লাশ হয়েছে আরাফাতও।
বুধবার রাতে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন আরাফাতের আরেক চাচা দীপু হোসেন। ভাতিজা আর দুই ভাইকে রেখে আগুন লাগার ঠিক আগেই দোকান থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে ভাই-ভাতিজার লাশ নিতে এসে দীপু বলছিলেন, “আমাকে বলছিল, ‘চাচ্চু তোমাকে কিস করি?’ আমি বলছি করো। ভাইস্তা আমার অল্প অল্প কথা বলা শিখছিল।
“ও এত আদরের… এত আদরের… ওরে ছাড়া বাচমু কেমনে…”
দীপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সময় তহন। আমি ভাইকে বললাম, বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাইতাছি, তোমরা বন্ধ করে আসো।
“দোকান থেকে মাত্র ৪০ কদম দূরে আসছি, তখনই বিস্ফোরণের শব্দ। দাউদাউ করে আগুন জ্বইল্যা উঠল। আরেকটু হলে আমিও মরতে পারতাম!”
ঠিক কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল তা স্পষ্ট না হলেও এসব ভবনে বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও প্রসাধন সামগ্রীর গুদামের কারণে আগুন সর্বগ্রাসী রূপ পেয়েছে বলে অনেকের মত মনে করছেন দীপুও।
দুই ভাই আর ভাতিজার লাশের খোঁজে এসে মর্গের সামনে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিলাপ করতে থাকেন দীপুর বোন মোসাম্মৎ জরিনা। স্বজনরা সান্ত্বনা দিয়ে থামাতে পারছিলেন না তার আহাজারি।
তিনি বারবার বলছিলেন, “আল্লাহ তোমার এ কেমুন বিচার… একলগে তিনজনরে নিয়া গেলা…!”