ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালকের ‘ঢাকায় ৫ বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি’

ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী সরকারি কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে ‘বিপুল পরিমাণ’ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2019, 01:46 PM
Updated : 20 Jan 2019, 02:04 PM

প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, রমিজ উদ্দিনের নামে ঢাকায় পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি এবং তার জন্মভূমি কুমিল্লাতে কয়েক একর জমি রয়েছে।

এছাড়া তার স্ত্রী সালাম পারভীনের নামেও কুমিল্লায় কয়েক একর জমির পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ‘বড় অঙ্কের’ অর্থ বিনিয়োগের তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন তারা।

ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার

এই প্রেক্ষাপটে রমিজ উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সড়কে সাত তলা একটি বাড়ি আছে। এছাড়া মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চার তলা ফ্ল্যাট বাড়ি, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮ নম্বর সড়কের ডি ব্লকে ২০২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির উপর পাঁচটি দোকান ও টিনসেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ ঠিকানায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি উপর বাড়ি করেছেন তিনি।

“এগুলোর বাইরে টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রমিজ উদ্দিনের ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি।”

পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে ‘বড় অঙ্কের’ বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে তাদের আরও অনেক অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

দুদকের ওই কর্মকর্তা বলেন, “রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।”

২০১৮ সালের শেষ দিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসার পর অনুসন্ধান শুরু হয় বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব জানান।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান এই অনুসন্ধান করছেন।