দিবসটি পালনে সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, ‘জ্ঞানতাপস’ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় বাংলা একাডেমি।
পরে বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা, স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় গভীরতর বিবেচনা ও বিশ্লেষণ ‘দাবি করে’।
“বিশ শতকের মুক্তি-আন্দোলনের নিরিখে বৃহত্তর পরিসরে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালির জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই বিবেচনা করার রয়েছে অশেষ গুরুত্ব।”
প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, “বাঙালির জাতীয়তাবাদ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমন্বয়বাদী সম্প্রীতির যে আদর্শ বহন করে তা ধর্ম বিভাজন অতিক্রম করে জাতিসত্তায় মিলনের পথ প্রশস্ত করে। বিশ্বের সংঘাতময় পরিস্থিতির বিবেচনায় এই জাতীয়তাবাদের উপনিবেশিকতা-বিরোধী চরিত্র ধারণ করে এই সম্প্রীতির আদর্শে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বাঙালির জাতিরাষ্ট্র, গুরুত্ব অপরিসীম।”
বাংলা একাডেমি নিয়ে স্মৃতিচারণে অংশ নেন একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক কবি মনজুরে মওলা, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, প্রাক্তন সচিব আলতাফ হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক রশীদ হায়দার, আসাদ চৌধুরী, মুহম্মদ নূরুল হুদা, ফরহাদ খান, আবদুল হান্নান ঠাকুর, জাকিউল হক ও নুরুল ইসলাম বাঙালি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বর্ধমান হাউজে একাডেমির সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। পরে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয় প্রশাসনিক ভবন। বর্ধমান হাউজে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর।
১৯৫৭ সালের এপ্রিলে গৃহিত ‘দি বেঙ্গলি একাডেমি অ্যাক্ট ১৯৫৭’ অনুযায়ী বাংলা একাডেমিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়।