চূড়ান্ত মনোনয়ন জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে

দল ও জোটের একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়নের তথ্য ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2018, 06:24 PM
Updated : 1 Dec 2018, 06:24 PM

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রায় সব আসনেই একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বিএনপি। জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও তাদের প্রত্যয়নে ধানের শীষের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও কয়েকটি আসনে দল ও জোট থেকে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। সে সব আসনে নৌকার প্রার্থী হতে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোট সামনে রেখে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হচ্ছে ২ ডিসেম্বর, ৯ ডিসেম্বর শেষ হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়। ওই দিনই দলগুলোকে তাদের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে।

ইসির উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি আমাদের কাছে এ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চেয়ে আবেদন করেছে। সেজন্য বিএনপি মহাসচিব বরাবর অস্পষ্টতা দূরীকরণের জন্য পত্র দিয়েছি। সেই সঙ্গে নিবন্ধিত ৩৯টি দলকেই তা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক-মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছি।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রতীক না থাকায় জোটটির নামে প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে বিএনপি যে দলের বিষয়ে সম্মতি দেবে সে দলের নেতারা ধানের শীষ প্রতীক পাবেন।

ইসির উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান বলেন, “বাছাই শেষে দলীয় প্রত্যয়নসহ একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত মনোনয়নের দরকার নেই, প্রতীকও পাবেন তিনি। কিন্তু একাধিক দলীয় প্রার্থী থাকলে এবং জোটগত হয়ে প্রতীক দিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলকে চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে।রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। ইসিতে এ বিষয়ে অনুলিপি দিতে হবে।”

প্রধান দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৭টি আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। জোটগতভাবে ৩৬টি আসন রয়েছে তাদের। জাতীয় পার্টি ৯০টি আসনে প্রার্থী দেয়নি।

বিএনপির মাত্র ৪০টির আসনে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচটি আসনে তাদের প্রার্থী নেই। তারাও জোটগতভাবে ভোট করবে অনেক আসনে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩) (বি) ধারায় প্রাথমিক মনোনয়ন এবং ১৬(২) ধারায় চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে ধন্দে পড়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি।

এ বিষয়টি স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

চিঠিতে বলা হয়, “মনোনয়নপত্রের ফরম-২ এ ‘প্রাথমিক মনোনয়ন’ বলে কিছুর উল্লেখ নেই। এতে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত মনোনয়ন কীভাবে দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা দরকার।”