সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করা তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিশেষ সেল এই প্রথম কোনো গুজবের মীমাংসা করে তা সংবাদমাধ্যমে জানালো।
বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিখোঁজ’ শিরোনামে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচারিত সংবাদটি একটি গুজব।
“বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ফ্রান্সের কোম্পানি তালেস এলিনিয়া স্পেস বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে প্রতিদিন সফলভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
“অতএব, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিখোঁজ' শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল সংবাদটি গুজব হিসেবে চিহ্নিত করেছে।”
গত অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইন্টারনেটে ‘অপপ্রচার’ বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল’ গঠন করে সরকার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সে সময় বলেছিলেন, এই সেল ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হলে তিন ঘণ্টার মধ্যে তা শনাক্ত করে সংবাদমাধ্যমে প্রেসনোট আকারে পাঠাবে।
ওই সেল পরিচালনায় যুক্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিষয়টিই সংবাদমাধ্যমে পাঠানো তাদের প্রথম ‘গুজবের খবর’।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোট পাওয়ার পর ফেইসবুকে খোঁজ করে দেখা যায় এটিএমবিডি২৪.ওয়েবসাইট, এসবি২৪.নিউজ, ডিএলঅনলাইনটিভি.কম, প্রথমবাংলাদেশ.নেট বেশ কিছু অখ্যাত ওয়েব পোর্টাল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ফেইসবুকে এসব প্রতিবেদন শেয়ার করা হয়েছে বিভিন্ন পেইজ থেকে, যার মধ্যে জামায়াতি প্রচারের জন্য পরিচিত বাঁশেরকেল্লাও রয়েছে। এটিএমবিডি২৪.ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয়েছে বিবিসি বাংলার লোগো ব্যবহার করে বানানো একটি একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে।