গ্রেপ্তারা হলেন- একেএম রানা (৩৮), দেলোয়ার হোসনে (৫০), সোহাগ খন্দকার (৩১), জাভেদ আহমেদ বাবু (৩৭), বুলবুল আহমেদ (৩২), নাজমুল হোসেন (২৪), আসাদুজ্জামান (৩৫) ও হারুন ওরফে হিরা (৩২)।
মঙ্গলবার সকালে পিবিআই সদরদপ্তরে সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের কাছে চারটি মোটর সাইকেল, তিনটি ওয়ারলেস সেট, এক জোড়া হাতকড়া, দুইটি খেলনা পিস্তল, একটি চাপাতি ও একটি চাকু পাওয়া গেছে।
বনজ কুমার বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বিকালে মোস্তাফিজুর নামের এক ব্যবসায়ী পল্টনে সুপ্রভাত বাসে করে খিলক্ষেতের বাসায় যাচ্ছিলেন।
“একজনকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। কিন্তু মোস্তাফিজুরকে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে তেজগাঁও বিএসটিআইর কাছে একটি ফাঁকা জায়গা নিয়ে যায়।”
পুলিশ কর্মকর্তা বনজ কুমার বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে একটি ব্যাগে ১৩ লাখ টাকা ছিল।
“তারা ওই ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে মোস্তাফিজুর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে মোটর সাইকেল করে দুর্বৃত্তরা ব্যাগ রেখেই পালিয়ে যায়।”
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মোস্তাফিজুরের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির খোঁজ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
চক্রটিতে ১১ জন সদস্য আছে, যার আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে বনজ কুমার জানান, এরকম আরও সাতটি দল আছে, যারা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে শনাক্ত করে। পরে দূরে যাওয়ার পথে একই কায়দায় ডিবি পরিচয়ে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়।