ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে দুর্নীতির মামলাটি চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার আবুল খায়েরের মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেয়।
আদালতে আবুল খায়েরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আমিন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রুল খারিজের পাশাপাশি আদালত মামলাটি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।”
উপাচার্য থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের আগের অনুমোদন বাদেই স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদিত পদের অতিরিক্ত ৬ জন কর্মকর্তা ও ১০৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক খায়েরের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে এর প্রমাণ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. বেনজির আহমদ ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি নোয়াখালী সুধারাম থানায় মামলা করেন।
পরে কমিশনের উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ওই বছরের ১৫ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
গত বছর নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আবুল খায়ের। ওই বছরের ১২ নভেম্বর জজ আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তার অব্যাহতির দরখাস্ত না মঞ্জুর করে।
এরপর ৩০ নভেম্বর হাই কোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করলে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি হয়েছিল । সেই রুলটিই খারিজ হল বুধবার।