অবশ্য প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে ‘গজ’ অগ্রসর হচ্ছে ভারতের চেন্নাই উপকূলের দিকে। এ ঝড় বাংলাদেশে আঘাত আনার তেমন কোনো আশঙ্কা আবহাওয়াবিদরা দেখছেন না।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র এক মাসের মাথায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ রোববার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে এ ঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘GAJA’, যা প্রস্তাব করেছিল শ্রীলঙ্কা।
আবহাওয়াবিদ বজলুল রশিদ জানান, রোববার সন্ধ্যায় পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকাজুড়ে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।
ওই সময়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
‘গজ’ আরও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে, অগ্রসর হতে পারে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে।
আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে ১৫ নভেম্বর নাগাদ তামিলনাড়ু এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।