ফুটবল খেলার উন্নয়নে সব করব: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবলকে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বর্ণনা করে এর উন্নয়নে সব কিছু করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2018, 04:57 PM
Updated : 12 Oct 2018, 07:10 PM

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণীর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি, ফুটবল সব থেকে জনপ্রিয় খেলা। আমাদের হাটে, মাঠে-ঘাটে সব জায়গায় এই খেলা।

“এই খেলাটাকে আরো উন্নত মানের করতে এবং ট্রেনিং দিতে যা যা করণীয় সেটা আমরা করব; এটুকু আমি আপনাদের কথা দিতে পারি।”

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাঠে আসেন। স্টেডিয়ামে বসে ফাইনাল খেলা দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হলে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে ফিলিস্তিন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন এবং রানার্স-আপ  তাজিকিস্তানকে অভিনন্দন জানান।

খেলাধুলার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলায় সব সময় আন্তরিক ছিলেন।”

পরিবারের সদস্যদের ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল সকলেই ফুটবল খেলত এবং সেই সাথে আমার নাতিপুতি যারা আছে; তারাও ফুটবল খেলে।

রানার্স-আপ তাজিকিস্তান দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

“আমার ছেলে জয়, জয়ের মেয়ে সোফিয়া ফুটবল খেলে। পুতুলের ছেলে জারিফ ফুটবল খেলে। রেহানার ছেলে রাদওয়ান, তার ছেলে কাইয়ুস; সেও ফুটবল খেলে। সকলেই ফুটবল .. আমাদের গোটা পরিবারই আমরা ফুটবল খেলার পরিবার; এটা আপনারা ধরে নিতে পারেন।”

নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মেয়েরা, মেয়ে ফুটবল টিম অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৮, ইতিমধ্যে সাফ আন্ডার ১৮ টিমে আমাদের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি ছেলেরাও পিছিয়ে থাকবে না। ভবিষ্যতে ছেলেরা আরো ভালো করবে, এগিয়ে যাবে।”

প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে যারা স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসেছিলেন তাদেরও আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী দুই দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।