সোমবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএসসিসিকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি সনদ মেয়র সাঈদ খোকনের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইটেও স্বীকৃতির এ তথ্য এসেছে।
গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির আয়োজন করে ডিএসসিসি ও রেকিট অ্যান্ড বেনকিজার। পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বরেকর্ড গড়তে ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ শীর্ষক এ প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছিল। তবে ১৫ হাজার ৩১৩ জন মানুষ অংশ নেন বলে তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছিল।
আর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ গণনা করেছে সাত হাজার ২১ জন।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ ড্রোন, স্যাটেলাইট ও লাইভ ভিডিওসহ তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে উপস্থিতি গণনা করে।
এর আগে ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভাদোদরা পৌরসভা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখায়। ২০১৭ সালের ২৮ মে ৫ হাজার ৫৮ জন মানুষ শহরের আকোটা-ডান্ডি বাজার ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার করেন।
সে রেকর্ড ভাঙতে ডিএসসিসির দরকার ছিল পাঁচ হাজার ৫৯ জন।
ডিএসসিসির সেদিনের কর্মসূচিতে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা সংস্থা, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দলের কর্মীসহ সাধারণ নগরবাসী অংশ নেন।
নিবন্ধনের সময় অংশগ্রহণকারী সবার হাতে একটি করে ঝাড়ু, মাথার টুপি এবং মুখে মাস্ক দেওয়া হয়। এ সময় একটি বারকোড সম্বলিত ব্রেসেলেট পরিয়ে দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের হাতে।