আশুরায় সদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: ডিএমপি

তাজিয়া মিছিলসহ আশুরার অনুষ্ঠানগুলোতে কয়েক স্তরের সূদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্বা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2018, 07:47 AM
Updated : 18 Sept 2018, 07:47 AM

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বকশিবাজারের হোসেনি দালান ইমামবাড়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতা পর্যালোচনা করে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মহররমের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কয়েক স্তরের সুসমন্বিত সূদৃঢ় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

“ইমামবাড়া, বড় কাটারাসহ আশুরার অনুষ্ঠান যেসব স্থানে হবে, সেগুলোতে আগে ডগ স্কোয়াড দিয়ে ‘সুইপিং’ করা হবে। প্রতি ইঞ্চি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে কেউ দৌড়ে ঢুকতে পারবে না। নিরাপত্তার তল্লাশির মাধ্যমে ঢুকতে হবে।

“শোক মিছিল যেসব সড়ক দিয়ে যাবে সেসব সড়কের উভয় পাশের ছাদে পুলিশ থাকবে। রাতের মিছিলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। তাজিয়া মিছিলের নিশান ১২ ফুটের বেশি থাকবে না।”

মিছিল শুরুর পথে সেখানে কেউ ঢুকতে পারবে না জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাজিয়া মিছিলে ও মহররমের অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ, ছুরি, কাচি, তরবারি, ধাতব বস্তু কেউ বহন করতে পারবে না।

“আতশবাজি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আর কোনো ডাক-ঢোল বাজানো যাবে না।”

১০ মহররম বা আশুরা মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমান, বিশেষ করে শিয়া মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে পালন করেন দিনটি।

এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। সেই থেকে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।

এবার ১২ সেপ্টেম্বর মহররম মাস গণনা শুরু হওয়ায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে।

আশুরা উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকলেও এবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার আশুরা পালিত হবে।