কয়লা কেলেঙ্কারি: আরও নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার তিন আসামিসহ বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির নয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে কমিশনের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার তিন আসামি কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি  এবং গোপাল চন্দ্র সাহা এদিন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।

এছাড়া কোম্পানির ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন; ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) মো. কামরুল হাসান; উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া; সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিনকেও এদিন জিজ্ঞাসবাদ করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে ওই নয় কর্মকর্তার কেউ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।

এর আগে মঙ্গল ও বুধবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির আরও ১৬ কর্মকর্তাকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়।

কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের  অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত।

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে গত ১৩ অগাস্ট  তলব করে দুদক।