এ ধরনের বিধানকে বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থি বলে দাবি করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইনের শিরোনাম আগে ‘সরকারি কর্মচারী আইন’ থাকলেও এখন তা নাম বদলে হয়েছে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি গ্রহণের যে বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে তা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থি। তাই ধারাটি বাতিল করতে হবে।”
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত পরিপূর্ণ খসড়া আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের আগে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ সব অংশীজনের মতামত গ্রহণের দাবি জানান জামান।
তবে খসড়ায় মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতসহ অন্যান্য ইতিবাচক ধারা অন্তর্ভুক্তির সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছে টিআইবি।