সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2018, 06:40 PM
Updated : 20 August 2018, 03:36 AM

খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন।

রোববার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ রুহুল ইমরানের আদালতে রেদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন মহাসচিব শাহ আলমের বিরুদ্ধেও এই মামলায় অভিযোগ গঠন হয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।

দুদকের  আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামি পক্ষ থেকে বারবার সময় নেওয়ার মামলাটির অভিযোগ গঠন পেছাচ্ছিল।

“আগের ধার্য তারিখেও আসামি পক্ষ সময় আবেদন করায় আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ১৯ অগাস্ট আসামিকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু এদিন আসামি অসুস্থ বলে সময় চান তার আইনজীবী।

কিন্তু সময়ের আবেদন নাকচ করে আসামির জামিন বাতিল করে বিচার শুরুর নির্দেশ আসে।”

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়,  আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর আসামি রেদোয়ান আহমদের পক্ষে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ২০০৭ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর হাই কোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।

হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদনও আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর খারিজ করে দেয়। ওই রায় পর্যালোচনার জন্য আপিল বিভাগে ২০১৬ সালে রিভিউ আবেদন করেন রেদোয়ান।

বিচারাধীন ওই আবেদন দেখিয়ে তিনি বার বার সময় নিচ্ছিলেন বলে দুদকের আইনজীবী জানান।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার ৪ ভাগ টাকা দুঃস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।

২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাত করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় মামলাটি করেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।