ঈদযাত্রার প্রথম দিন শুক্রবার ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, “এবারের ঈদে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি সেতু উদ্ভোধন করার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা এবার স্বস্তিদায়ক হবে, সহনীয় হবে ভোগান্তি।
“আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী রেল ওভারপাস… গত ঈদে কিছুটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এটাও এবার খুলে দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা-টাঙ্গাইল পথে ‘অন্যান্য সমস্যাও’ সমাধান করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সব মিলিয়ে গত ঈদের চেয়ে এবারে ঈদ স্বস্তিদায়ক হবে।”
মহাখালীতে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এবার ‘অভিযোগ কম পাওয়া যাচ্ছে’ বলেও দাবি করেন কাদের।
তিনি বলেন, “যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছি কোন কাউন্টার? সে বললো, সিরাজগঞ্জের স্টারলাইন। সঙ্গে সঙ্গে এটা বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া আর কোনও অভিযোগ আসেনি।”
কোরবানির পশুবাহী যানবাহন যথাযথ জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পশুবাহী গাড়িগুলো যথাযথভাবে রাখলে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামালে আর কোথাও কোনও সমস্যা থাকবে না। আপনারা পশুবাহী গাড়িগুলো যথাযথ স্থানে রাখবেন।”
‘আবারও চক্রান্তে বিএনপি’
দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের সূত্র ধরে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের শান্তিময় পরিবেশকে ‘ভয়ঙ্কর রূপ’ দিতে বিএনপি এবং তাদের সহযোগীরা ‘উঠে পড়ে লেগেছে’।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “১/১১’র মত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্তটা কিন্তু বিএনপি করছে, মিডিয়ার একটি অংশ তাদের সহযোগিতা করছে। ১/১১ এর কুশিলবদের সঙ্গে মিডিয়ার একটি অংশ ছিল তাদের সহযোগী। এখনও একই ষড়যন্ত্র সেই বিএনপিই করে যাচ্ছে।…”
“আমরা জানি জনগণ উন্নয়নের দিকে রায় দিবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবারও রায় দিবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিএনপি এবং তাদের দোসররা হুমকি সৃষ্টি করছে।”
‘মোটামুটি স্বস্তিদায়ক‘ নির্বাচন পরিচালনার মত ‘শান্তিময়’ পরিবেশ দেশে বিরাজ করছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, “এই শান্তিময় পরিবেশটাকে ভয়ঙ্কর রূপ দেওয়ার জন্য বিএনপি এবং তাদের দোসররা উঠে পড়ে লেগেছে।”
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার কোনো সুযোগ আছে কি না- এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পার্লামেন্টে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। যখন আসার সুযোগ ছিল তখনও তারা আসেনি। তাদেরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত অফার করা হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেনি।
“এবার তারা পার্লামেন্টে উপস্থিত নেই। … এবার তাদেরকে ডাকতে হবে এমন কোনও চিন্তা নেই। টেকনোক্র্যাট দল থেকে কেন নেব? বাইরে থেকেও তো নেওয়া যেতে পারে।”
‘সরকার যে পদ্ধতিতে নির্বাচনে যেতে চাইছে, সেই পদ্ধতিতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনীতির ভবিষ্যত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানের। পদ্ধতিটা বাংলাদেশের সংবিধানই নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচনটা কীভাবে হবে। আর সংবিধানের এই দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচন কমিশনের উপর।
“সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ে গেছে।”