ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার ভোররাতে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।”
পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে কোন বিষয়ে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে- সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রোববার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে আসেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারেরও সমালোচনা করেন।
তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের বরাত দিয়ে দৃকের কমিউনিকেশন অফিসার আমিনা নেয়ামত রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ১২টার দিকে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ধানমণ্ডি থানা থেকে আমাদের বলা হচ্ছে না।”
ধানমণ্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহিদুল আলমকে কে বা কারা তার বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানাতে থানায় এসেছেন। কিন্তু তাকে ধানমণ্ডি থানায় আনা হয়নি।
দৃকের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমকে 'জোরপূর্বক' তার ধানমন্ডির বাসা থেকে 'অপহরণ করা হয়েছে'। অ্যাপার্টমেন্টের দারোয়ান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ৩০ থেকে ৩৫ জন সাধারণ পোশাকের লোক নিজেদের 'ডিবি' পরিচয় দিয়ে শহিদুলকে বাসা থেকে নামিয়ে আনেন।
"তাকে জোর করে বাইরে অপেক্ষারত একটি গাড়িতে তোলার সময়ে তিনি চিৎকার করছিলেন। গাড়ির গায়ে লেখা ছিল, ‘পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স'। "
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহিদুলকে নিয়ে যাওয়ার সময় ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে তালাবন্ধ করে রেখে যাওয়া হয়।