অভিনেত্রী নওশাবার ফেইসবুক পেইজে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ‘গুজব’

জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার খবর নিজের ফেইসবুকে দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2018, 02:53 PM
Updated : 4 August 2018, 02:53 PM

শনিবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধার পর জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

বিকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে হেলমেট পরা একদল যুবককে দেখা গেছে, যাদের একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে।

সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকাল চারটার দিকে ফেইসবুক লাইভে আসেন।

এক মিনিটের ৩৭ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওর শুরুতেই তিনি বলেন, “আমি কাজী নওশাবা আহমেদ বলছি, আপনাদেকে জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে, দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।”

 

সকলকে এক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনারা সবাই এক সাথে হোন। ওদের প্রটেকশন দিন প্লিজ। বাচ্চাগুলো আনসেইফ অবস্থায় আছে। আপনারা রাস্তায় নামেন প্লিজ।”

আন্দোলনকারী ছাত্রদের রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নওশাবা বলেন, “যদি সরকার প্রটেকশন দিতে না পারেন, তবে মা বাবা হয়ে, ভাই বোন হয়ে ছেলে মেয়েগুলোকে প্রটেকশন দিন, এটা আমার রিকোয়েস্ট।”

যে ছাত্রটির চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, সে জিগাতলা হাইস্কুলের দাবি করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, “এদেশের নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে রিকোয়েস্ট করছি, জিগাতলায় স্কুলের ছেলের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।”

 

ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “একটু আগে অ্যাটাক করেছে, ছাত্রলীগের ছেলেরা। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখনই নামবেন, আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন। ট্রাফিক যে পুলিশরা আছেন, প্লিজ আপনারা নিজের দেশের বাচ্চাদের প্রটেকশন দেবেন। কিছু একটা। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তবে জনগণ কিসের জন্য আছি আমরা? আমরা ৭১ দেখেছি, বায়ান্ন দেখেছি, আমরা এবারও পারব।”

তবে নওশাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি নিজে চোখে কিছু দেখিনি।”

আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে- এমন খবর শুনে সেদিকে এগোলে সংঘর্ষ বাঁধে।

পরে বিকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘুরে এসে আন্দোলনকারীরা জানান, শিক্ষার্থী হতাহতের কথা গুজব। 

আওয়ামী লীগ কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান তূর্য বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘুরে এসে বলছি, আমাদের কাউকে আটকে রাখা হয়নি। গুজব ছড়ানো হয়েছে। তাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।”