শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসি মিলনায়তনে সংগঠনের সম্মেলন ও মিলনমেলায় তাদের সঙ্গে আগামী দুই বছরের জন্য ৩১ সদস্যের নতুন কার্যনিবাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিদায়ী কমিটির সভাপতি শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার উপস্থিত ছিলেন না। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অধ্যাপক রফিকুন নবী, শিল্পী হাশেম খানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিল্পী থাকলেও তারাও ছিলেন অনুপস্থিত।
সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে চারুশিল্পী সংসদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
এসময় বেলুন উড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ এবং সংসদের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সামাদ বলেন, “দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন দেশের চিত্রশিল্পীরা। সে সঙ্গে শিশুদের সুকুমার বৃত্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন চিত্রশিল্পীরা।”
দেশে বিদ্যমান নানা অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিত্রশিল্পীদেরকে সংগঠিত করতে সংসদ আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও শিল্পী ও নাজমা আক্তার বক্তব্য দেন।
জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের উপস্থিত না থাকার বিষয়ে মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের সবাইকেই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো। হয়তো ব্যস্ত থাকার কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেননি।”
সম্মেলন শেষে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।