তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক পেল ঢাকা আহছানিয়া

তামাক মুক্ত দেশ গড়তে ভূমিকা রাখায় প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে ২০১৮ সালের তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক পেয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2018, 06:39 PM
Updated : 24 May 2018, 06:39 PM

বৃহস্পতিবার সকালে পিকেএসএফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় তামাক বিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশনা বা গবেষণা ক্যাটাগরিতে এই পদক পান ডা. মোস্তফা জামান। পরে মোস্তফা জামান সম্মানী হিসাবে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজের জন্য পিকেএসএফকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করেন।

পিকেএসএফ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কার্যক্রমের গুণগত মান, বিস্তৃতি ও প্রভাব বিবেচনা করে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।”

অন্যদিকে মোস্তফা জামানকে পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে তার গবেষণার প্রকৃতি, প্রাসঙ্গিকতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রকাশনার সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত তবে এই সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না যদি তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না যায়। তামাক উৎপাদন কমাতে তামাক চাষীদের অন্যান্য লাভজনক অর্থকরী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।“

সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কথা উল্লেখ করে তামাকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

“দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আজ তামাক ও মাদকের জন্য যে ঝুঁকিতে রয়েছে তার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে দেশব্যাপী প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।”

এ সময় জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালিক বলেন, “তামাক জাতীয় অভিশাপ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জন এবং তা ধরে রাখতে হলে দেশকে তামাক নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। তামাকের ব্যবহার হ্রাস করার জন্য মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অপরিহার্য।”

পিকেএসএফ-এর সভাপতি ও জাতীয় তামাক বিরোধী প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার লক্ষ্যে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ‘জাতীয় তামাক বিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ গঠিত হয়।