মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আফতাবের বিক্রয় কেন্দ্রে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম পলাশ কুমার বসু এই জরিমানা করেন। প্যাকেটজাত বেশ কিছু দুধ ধ্বংসও করে দেওয়া হয়।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু সাংবাদিকদের বলেন, বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫ এর ২৪ ও ১৯ ধারা লঙ্ঘন করেছে আফতাব মিল্ক।
নিবন্ধন বাতিলের পরও বিএসটিআইয়ের লোগো অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করছিল আফতাব। আইন অনুযায়ী এর শাস্তি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নিম্নমানের হওয়ায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে আফতাব মিল্কের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। তারপরও নিবন্ধন ছাড়া এই দুধ বাজারজাত করছিল তারা।
বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক (সিএম) রিয়াজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আফতাবের দুধ বাজার থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলো নিম্নমানের এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল।
তবে বিএসটিআই যে দুধের নিবন্ধন বাতিল করেছে, তা জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন আফতাব মিল্কের বিপণন কর্মকর্তা বাকিউজ্জামান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মূল কারখানা গাজীপুরের মৌচাকে। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। তারপর কারখানায় প্রক্রিয়াজাত হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণের জন্য ঢাকার সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে আনা হয়।