বিশৃঙ্খলার মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর ৮৫টি ভোট বাতিল করে আবারও ভোটগ্রহণ শুরু করেন এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউল হক।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এ সিটি করপোরেশনের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়। এর ঘণ্টা দেড়েক পর গগনবাবু রোডের ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮১ নম্বর কেন্দ্রে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল যুবক কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে ঢুকে নৌকা মার্কায় সিল মারা শুরু করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টরা।
বিএনপির প্রার্থী জরুল ইসলাম মঞ্জু এ সময় ওই কেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার সামনেই বিক্ষোভ করতে থাকে। এ পরিস্থিতি ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সকাল ১০টার দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জিয়উল হক জানান।
বেলা ১২টার দিকে ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন ইসির পর্যবেক্ষক দলের প্রধান আব্দুল বাতেন।
কমিশনের এই যুগ্ম সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে কিছুটা গোলযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। হট্টগোলের মধ্যে প্রিজাইডিং কর্মকর্তরা কিছু করতে পারেননি। সে কারণে আমরা ভোটগুলো বাতিল করেছি।”
বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা সকালে ভোট শুরুর সময় কেন্দ্রে থাকলেও বেলা ১২টার দিকে তাদের কাওকে আর ওই কেন্দ্রে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাতেন বলেন, “কোনো প্রার্থী যদি তার এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা পুলিশ পাহারায় তাদের এখানে নিয়ে আসব। কোনা ভোটারকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও যদি কেউ অভিযোগ করে, তাহলেও আমরা পুলিশি পাহারায় তাদের নিয়ে আসব ভোট কেন্দ্রে।”
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইসি কর্মকর্তা বাতেন আসার ঠিক আগে ওই কেন্দ্রে ভোট চলতে দেখা গেলেও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই ব্যালটে সিল মারতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এ সময় ছবি তোলার চেষ্টা করলে সংবাদকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়।
রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল হায়াত জানান, বিশৃঙ্খলার কারণে তার কেন্দ্রেও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে।
“বাইরে কিছু দুর্বৃত্ত এসে বিশৃঙ্খলা করছিল। কিন্তু তারা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ”