ঢাকার বেরাইদে আ. লীগের দু’পক্ষে গোলাগুলি, নিহত ১

ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকার বেরাইদে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 12:53 PM
Updated : 3 July 2019, 05:36 AM

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া এলাকাটিতে রোববার বিকালে এই গোলাগুলি হয় বলে বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সাংসদ রহমতউল্লাহ পক্ষের লোকজনের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে।”

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।

নিহত ব্যক্তি কামরুজ্জামান দুখু নিজের ভাই বলে জানিয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপি রহমতউল্লাহর ভাগিনা ফারুকের লোকজন বেরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের লোকজনের উপর গুলি চালিয়েছে। তাদের গুলিতে আমার ছোট ভাই কামরুজ্জামান দুখু মারা গেছেন। আরেক ছোট ভাই বেরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় এ্যাপোলো হাসপাতালে রয়েছেন।”

এক অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (ছবি: ফেইসবুক)

তিনি বলেন, “এমপি রহমতউল্লাহ তার ভাগিনাকে মহানগর আওয়ামী লীগের পদ দিতে চায়। ছেলে হেদায়েতউল্লাহকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর করতে চায়।

“আমি যেন বাড্ডা এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারি সেজন্য তিনি অপরাজনীতি করছেন। এলাকাবাসী এটা মেনে নেবে না বলে তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের উপর গুলি চালিয়েছে।”

এ্যাপোলো হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাজির হোসেন, বাদল মিয়া, তাজ মোহাম্মদ, শরীফ হোসেন, মো. আজিম, আবদুল করিম ও তাজসহ অন্তত আটজন রয়েছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর।

দলের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এমপি রহমতউল্লাহ পক্ষের লোকজন আমাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাইছি।”

এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ (ছবি: ফেইসবুক)

এই বিষয়ে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নামাজে ছিলাম বলে কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে বা কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছি না।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বড় ছেলে হেদায়েতউল্লাহকে বেরাইদের মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায়।

“তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ সংঘর্ষে জড়াতে পারে,” বলেন রহমতউল্লাহ।

তিনি জানান, তার ছেলে লন্ডন থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছে। বর্তমানে ব্যবসায়িক কাজে জাপানে রয়েছেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান বাড্ডা থানার এসআই অনয় চন্দ্র পাল।