বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে তাদের প্রথম দফার অস্ত্রোপচার চলে।
অস্ত্রোপচারের পর দুজনকে রাখা হয়েছে বার্ন ইউনিটেই; শাহরিন আছেন কেবিনে, কিন্তু শাহীনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের বার্নড চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, এখনও শঙ্কামুক্ত নন তারা। তবে শাহীনের তুলনায় শাহরিন ভালো আছেন।”
অস্ত্রোপচারকারীদের অন্যতম বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেইন ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাহীন ব্যাপারীর ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় তার আরও কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে। তার শরীরের 'ডিপ বার্ন' প্রায় ৩২ শতাংশ।”
শাহীনের বাম হাত ও পিঠের কয়েক জায়গায় বুধবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানান ডা. ইমাম।
"শাহীনের বাম হাত, পিঠে ডিপ বার্ন। আপাতত বাম হাত ও পিঠের যতটুকু পোড়া জায়গা ছিল, তার পুরোটুকু আমরা কেটে এনেছি, তবে সব জায়গায় চামড়া লাগাতে পারিনি। স্ক্যাটার্ডলি চামড়া লাগিয়েছি, বাকি জায়গাগুলোতে খুব উন্নত নতুন ড্রেসিং ম্যাটেরিয়াল দিয়ে ড্রেসিং করে দিয়েছি।”
পোড়ার কারণে শাহীনের কিছু নতুন ইনফেকশন দেখা দিচ্ছে যার ফলে তার ফুসফুসে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সব মিলিয়ে শাহীনকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছে।
তিনি বলেন, “শাহরিনের শোল্ডারে ডিপ বার্ন। চামড়ার যে লেয়ার পর্যন্ত বার্ন আছে তার পুরোটুকু আমরা তুলে এনেছি এবং সেখানে নতুন চামড়া প্রতিস্থাপন করেছি। এখন সে মোটামুটি স্টেবল।”
দুই রোগীর বিষয়ে ডা. ইমাম বলেন, “আসলে চব্বিশ ঘণ্টা পোস্ট অপারেটিভ অবজারভেশনের পর শরীরের সার্বিক উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কে বলা যাবে। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, সেটা বলা কঠিন।"