পাইলট অবসাদগ্রস্ত ছিল না:  ইউএস বাংলা

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের পাইলট আবিদ সুলতান ‘অবসাদগ্রস্ত’ ছিলেন না বলে দাবি করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2018, 11:05 AM
Updated : 14 March 2018, 11:59 AM

প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আইসিএওর (আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা) নিয়ম অনুযায়ী একজন পাইলটের কর্মঘণ্টা ১৪ ঘণ্টা, এর মধ্যে তিনি ১১ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেন।

“আমাদের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। প্রতিবার ফ্লাই করার পর ৩০ মিনিট গ্রাউন্ড টাইম। এখানে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।“

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান।

অভ্যন্তরীণ রুটে একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা পরে ইউএস বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটের প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান যখন সোমবার দুপুরে নেপালে গেলেন, তখন তিনি ক্লান্ত বা অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কি না- সে প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

ইউএস-বাংলার এই ফ্লাইটের প্রধান বৈমানিক আবিদ কাঠমান্ডুতে ফ্লাইট নিয়ে রওনা হওয়ার আগে অভ্যন্তরীণ রুটে দুটি ফ্লাইট চালিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি উড়োজাহাজ নিয়ে চার বার উড্ডয়ন এবং চার বার অবতরণ করেন।

সেদিন সকাল সাড়ে ৭টায় আবিদ বিমান নিয়ে উড্ডয়ন শুরুর পর সাত ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চমবার উড্ডয়ন করে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কামরুল বলেন, “নেপাল, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য আসছে।  আমরা এটাকে একটা দুর্যোগ হিসেবে দেখছি। আমরা নিশ্চিত না হয়ে কোনো কথা বলছি না। এমন সময় আমরা দেখছি গণমাধ্যমে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা আসছে।

“প্রথম দিনের সঙ্গে আজকের দিনের তফাৎ রয়েছে, এখন ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করছেন। এখানে মনগড়া বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা আসলে তারা যেকোনো মুহূর্তে নেপাল থেকে মরদেহগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসতে প্রস্তুত।   

এসময় তিনি বলেন, “মোস্ট অফ দ্য ডেডবডি বার্নড। কাছে পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে না।”