এআইইউবিতে চার সাংবাদিককে আটকে মারধরের অভিযোগ

রাজধানীর বনানীতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া বেসরকারি মাছরাঙা টেলিভিশনের চার সাংবাদিকসহ পাঁচজনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে আড়াই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তাদের আটক রাখা হয় বলে টেলিভিশনটির স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

আটকে রাখা সাংবাদিকরা হলেন- মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক বদরুদ্দোজা বাবু, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাজহারুল মিলন, ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম, সোহাগ এবং প্রযোজক সায়েম খান।

সাংবাদিক আনোয়ার বলেন, “একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সন্ধ্যায় পাঁচজনের একটি দল এআইইউবিতে গিয়েছিল। ভেতরে ঢোকার পর তাদেরকে আটকে রাখা হয়। এ অবস্থায় ছিল আড়াই ঘণ্টা।”

তাদেরকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছেড়ে দিলেও দুটি ক্যামেরা ও তাদের মোবাইল ফোন রেখে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

“বের হওয়ার পর তারা জানিয়েছেন, তাদেরকে মারধরও করা হয়েছে।”

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন

বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলেন, “খবর পেয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর সাংবাদিকরা বেরিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

পরে বদরুদ্দোজা বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীনের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন তারা। আগেই কথা বলে এই সময় ঠিক হয়েছিল।

“তার সাক্ষাৎকার গ্রহণের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র দেখিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং আমাদের ক্যামেরাম্যান ও প্রডিউসারের উপর তিনি প্রথম হামলা করেন এবং পরে অন্যান্য লোকজন এসে আমাদের মারধর করে। গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।”

এক পর্যায়ে তারাই ছেড়ে দেয় জানিয়ে বাবু বলেন, এ সময় মাছরাঙা টেলিভিশনের দুটি ক্যামেরা ও তাদের কাছে থাকা মোবাইলগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে।