ব্যাংক পরীক্ষায় ডিভাইসসহ ৫ পরীক্ষার্থী ধরা

অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতির জন্য পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2018, 01:26 PM
Updated : 20 Jan 2018, 02:30 PM

শনিবার বিকালে নিয়োগ এই পরীক্ষা চলাকালে ঢাকার তিতুমীর কলেজ ও তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের ধরা হয়।

ওই পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব মো. মোশাররফ হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক কড়াকড়ি করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও খুবই কৌশলে তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র থেকে দুইজন এবং তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র থেকে তিনজনকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ ধরা হয়েছে।

“এই পাঁচজন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিজেদের আসনে বসে ওই ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরের কারও কাছে প্রশ্ন পাঠিয়ে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে নিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছিল।”

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে এ ধরনের ডিভাইসসহ ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতাসহ দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই জালিয়াত চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।তাদের থেকে ‘ডিজিটাল’ জালিয়াতির সুবিধা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ১২ জনের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ।

অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট ছয় হাজার ১২৮ জন প্রার্থী অংশ নেয়। অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ওই পাঁচজনকে পুলিশে দিতে বলেছিলেন বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন।

তবে তাদের পুলিশের দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের ডিভাইসসহ আটক করা হয়নি। তাদের সাথে মোবাইল ছিল। পরীক্ষার নির্দেশনায় বন্ধ মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

“তাদের একজনের মোবাইল খোলা ছিল এবং চারজনের কাছে বন্ধ মোবাইল পাওয়া গেছে। আমরা পাঁচজনকেই বহিষ্কার করেছি।”