মো. সালেকীন শেখ নামে ওই ব্যক্তির ঘন ঘন যাতায়াতে সন্দেহবশত সোমবার ঢাকা ছাড়ার সময় তাকে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায় বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই ব্যক্তির কাছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মূল্যমানের ইউরো ছাড়াও ডলার, থাইবাথ, ইয়েন, ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার টাকা।”
সালেকীনের পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে।
রোববার রাতে সালেকীন ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসেন। তখন শুল্ক গোয়েন্দারা দেখেন, তার পাসপোর্টে ২০১৭ সালে কলকাতা-ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ৩৬ বার ভ্রমণের উল্লেখ রয়েছে।
তথ্যটি জানার পর সালেকীনকে নজরে রাখা হচ্ছিল। রাতে ঢাকায় থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
মইনুল খান বলেন, বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর ট্রানজিট এলাকায় শুল্ক গোয়েন্দারা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। তিনি বিদেশি মুদ্রা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে কাস্টমস হলে নিয়ে তার দেহ ও হ্যান্ডব্যাগ তল্লাশি করলে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়।
“এসব মুদ্রা তার জুতার মোজার ভেতর,শরীরের বিভিন্ন অংশে ও হ্যান্ডব্যাগে বিশেষভাবে লুকায়িত ছিল,” বলেন মইনুল।
তিনি বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, এই ব্যক্তি চোরাচালানের পণ্য কিনতে এই মুদ্রা অবৈধভাবে বহন করছিলেন।”
ঘোষণা ছাড়া এবং লুকিয়ে বহন করায় এই ভারতীয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ করেছেন বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানান।