লাঞ্ছিত কবিরুল ইসলাম কানন দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
রোববার সকালে অফিস শুরুর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ২০৬ নম্বর কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে কানন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
কানন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি রেজিস্ট্রার ভবনের (প্রশাসন-৩) ২০৬ নম্বর কক্ষে গিয়ে সেকশন অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন ও মো. আহসানুল কবিরের আসন ফাঁকা দেখতে পান। তখন পাশের কক্ষে যান তিনি।
তিনি বলেন, "সাংবাদিক কি না- জিজ্ঞাসা করেই হঠাৎ করে শার্টের কলার টেনে ধরে হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন উনারা। এরপর তারা বিভিন্নভাবে শাসাতে থাকেন, মোবাইলের থাকা বিভিন্ন ছবি, ভিডিও মুছে দেন।"
এই বিষয়ে কথা বলতে সেকশন অফিসার নিজামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
এদিকে সাংবাদিক কানন বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
উপাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাংবাদিককে লাঞ্ছনা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি চেয়েছেন।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “একজন সাংবাদিক বলে নন, কোনো কর্মকর্তা একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গেও এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। সাংবাদিকের পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া নিজেদের দায়িত্ব-অবহেলা ঢাকার চেষ্টা।”