হামিদ-এরদোয়ান বৈঠকে সম্পর্ক মজবুতে জোর

বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও নিবিড় করার তাগিদ এসেছে দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কাছ থেকে।

সাজিদুল হক ইস্তাম্বুল থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 02:00 PM
Updated : 13 Dec 2017, 02:12 PM

জেরুজালেম ইস্যুতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর জোট ওআইসির বিশেষ সম্মেলন শেষে বুধবার ইস্তাম্বুলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

ইস্তাম্বুল কংগ্রেস অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে এই বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এটি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

আগামী ১৯ ডিসেম্বর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

এরদোয়ানের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “তার দেশ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তিনি ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগতে যৌথ উদ্যোগের তাগিদ দেন।”

গত সেপ্টেম্বরে কাজাখাস্তানের রাজধানী আস্তানায় ওআইসির প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক বিষয়ক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি হামিদ জেরুজালেম ইস্যুতে ওআইসির বিশেষ বৈঠক আহ্বানের জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।

ওআইসিতে এশিয়ান অঞ্চল থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে তুরস্কের সমর্থন চান তিনি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

প্রেস সচিব জানান, আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বৈঠকে এরদোয়ান মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক) কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।

এরদোয়ানের পরে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন আবদুল হামিদ।

প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, “সুদানের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করে বলেন, সুদানের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নয়নে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা প্রশংসনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।”

আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থনের জন্য ওমর আল বশীরকে ধন্যবাদ জানান।