বুধবার সকাল ৯টার দিকে মো. আবু বক্কর নামে ওই তরুণকে পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকালে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ অধিনায়ক এমরান হাসান বলেন, “বক্কর খুনের বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।”
সোমবার ভোরে গুলিস্তান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সে সংলগ্ন মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভেতরে জিদানের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনার পর থেকে ওই মাদ্রাসার ছাত্র বক্কর পলাতক ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা এমরান বলেন, “বক্কর মাদ্রাসায় সিনিয়র হওয়ায় জিদানকে দিয়ে কাপড় ধোয়া, খাবার আনাসহ নানা কাজ করাত। মাঝে মধ্যে জিদান কাজ করতে না চাওয়ায় একদিন তাকে চড় মেরেছিল বক্কর। ঘটনাটি জিদান মাদ্রাসার শিক্ষককে জানালে বক্কর আরও ক্ষুব্ধ হয়।
“এছাড়া জিদানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায়ও ক্ষুব্ধ ছিল বক্কর।”
রোববার রাত দেড়টার দিকে ফল কাটার ছুরি দিয়ে বক্কর একাই জিদানকে হত্যার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন বলে এমরান জানান।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিদানের বাবা বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় বক্করকে আসামি করা হয়।