সোমবার বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ অফিসার কামনাশীষ রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২১ অক্টোবর পারভেজকে অপসারণের এ আদেশ দেওয়া হয়।
পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নামের সঙ্গে ‘ব্যারিস্টার’ ও নিজেকে ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী’ হিসেবে পরিচয়ে বিভিন্ন টেলিভিশেনের টকশোতে অংশ নিতেন তিনি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য পারভেজ আহমেদ, পিতা-জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে আনীত অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইন পেশা হতে তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর অভিযোগ ও নথি পর্যালোচনা এবং বাদীর সাক্ষ্য নিয়ে পেশাগত অসাদচারণের অভিযোগের ভিত্তিতে বার কাউন্সিলের এক নম্বর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে অন্য একটি অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর ১০ বছরের জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালস।
পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পারভেজ আহমেদ ব্যারিস্টার না হয়েও নামের আগে ব্যারিস্টার যুক্ত করেছেন।
“সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্ভুক্ত না হয়েও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমনকি তার ফেসবুক আইডিতেও ব্যারিস্টার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তার পরিচয় ছিল।”
আইনজীবী সরোয়ার বলেন, “আইনজীবী হিসেবে তিনি স্পষ্টতই অসদাচরণ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি পেশার মর্যাদা এবং সুনাম নষ্ট করেছেন।”
অভিযোগকারীর ভাষ্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য পারভেজ আহমেদ ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পরিচয় ব্যবহার করে ভিজিটিং কার্ডও করেছেন। এসব কাজ না করতে তাকে অনুরোধ করা হলেও তিনি আমলে নেননি।
“এ কারণে একজন আইনজীবী হিসেবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি তার বিরুদ্ধে বার কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। গত বছরের ১০ জানুয়ারি বার কাউন্সিলে দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পারভেজ আহমেদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।