মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আইওএমের মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইংয়ের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংস্থাটির এই পরিকল্পনার কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেন, “তার (লেসি সুইং) আসার উদ্দেশ্য ছিল রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে তা সরজমিনে দেখা... এবং তাদের জন্য পরবর্তীতে কী করা সেজন্য তিনি এসেছেন। তিনি সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন, “বৃষ্টির জন্য ১৫ হাজার ছাতা, চার হাজার ৬০০ মাদুর আর এক লাখ পরিবারকে ক্রোকারিজ সামগ্রী দিয়েছে আইওএম।
“ইতোমধ্যে আইওএম পরিকল্পনা নিয়েছে... আরও কিছুদিনের জন্য এক হাজার কোটি টাকা তারা বরাদ্ধ চেয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। এনিয়ে ২৩ তারিখে সভা আছে।”
এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা আইওএম ইতোমধ্যে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, “বাকি টাকার বিষয়ে জেনেভার সভায় উত্থাপন করবেন বলে মহাপরিচালক আমাদের জানিয়েছেন।
“আইওএম এর বিশ্বাস এবং আমাদেরও বিশ্বাস সেই টাকাটা পেয়ে গেলে এ সমস্যাটা… সাময়িকভাবে তাদের (রোহিঙ্গা) সহযোগিতা বেগবান করতে পারব। ”
ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইওএম সর্ব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গা সঙ্কটে আন্তর্জাতিকভাবে আইওএম (মিয়ানমারের ওপর) আরও চাপ সৃষ্টি করবে। আনান কমিশনের প্রতিবেদন মোতাবেক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করবেন বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক।”