পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
সেসঙ্গে সেখানকার বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন জমা দিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনকে (বিসিক) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।
পরে রিজওয়ানা সাংবাদিকদের বলেন, “হাজারীবাগের দূষণ যেন সাভারে না হয়, সে জন্য বারবার আদালতে আসা। আদালত এ বিষয়ে আজ আদেশে দিয়েছে।
“সাভারে সিইটিপি যেটি আছে সেটি ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনিটর করে ১২ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তরল বর্জ্যে যেন কঠিন বর্জ্য মিশে না যায়, তার জন্য প্রত্যেক কারখানার পাইপে যেন বায়োস্ক্রিন লাগানো হয়, সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।”
আইনজীবী রইস উদ্দিন বলেন, “আদালতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের পক্ষে কিছু প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এরপর আদালত পরিবেশসম্মতভাবে কাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছে।”
এর আগে গত জুলাইয়ে ধলেশ্বরী নদীর দূষণ ঠেকাতে সাভারের ট্যানারি পল্লীর বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থার বিষয়ে নির্দেশনা হাই কোর্টে আবেদন করে বেলা।
আবেদনে সাভারের ট্যানারি পল্লীর পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রকারী ক্রোম (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক) রিকোভারি ইউনিট, লবণাক্ততা দূষণ প্রতিরোধক এবং কঠিন বর্জ্য পরিশোধকের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হয়।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয় আদেশে।
সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও স্থানান্তর না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনজিল মোরসেদ।
পরবর্তীতে কয়েক দফা আদেশের পর ঈদুল আজহার আগে আদালতের এক আদেশে সকল ট্যানারির ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।