রিশা হত্যার বিচার শিশু আদালতে

সাক্ষীদের কয়েকজন শিশু হওয়ায় স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যাকাণ্ডের মামলাটির বিচার হবে ঢাকার শিশু আদালতে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2017, 02:06 PM
Updated : 27 August 2017, 02:06 PM

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা আদালত পরিবর্তনের এ আদেশ দিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।

তিনি বলেন, “২০১৩ সালের শিশু আইনের ১৭ ধারার বিধান অনুসারে বিচার শিশু আদালতে করার আদেশ গত ২২ অগাস্ট দিয়েছিলেন মহানগর দায়রা জজ। আজ (রোববার) আদেশটি লিখিতভাবে জানানো হয়।”

এই মামলার অভিযোগপত্রে ৪ জন শিশুকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

বিচারের মাঝ পথে এ কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষ থেকে গত ৩১ জুলাই মামলাটি শিশু আদালতে বদলির আবেদন করে। আদালত গত ১০ অগাস্ট শুনানি শেষে ওই আবেদন নাকচ করে। পরে তারা আবার আবেদন করলে শিশু আদালতে মামলাটি বদলির নির্দেশ আসে।

সুরাইয়া আক্তার রিশা

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিশু আদালতের বিচারক হিসাবে কাজ করেন। ওই আদালতের বর্তমান বিচারক হাফিজুর রহমান।

ঢাকার কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিশাকে (১৪) গত বছরের ২৪ অগাস্ট তার বিদ্যালয়ের সামনে ফুট ওভারব্রিজের উপর ‍ছুরিকাঘাত করা হয়। চার দিন পর তার মৃত্যু হয়।

হামলার দিনই রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে মামলা করেন। রিশা মারা যাওয়ার পর এটি হত্যামামলায় পরিণত হয়।

মেয়ে হত্যাকাণ্ডের পর দরজি দোকানের কর্মচারী ওবায়েদুল খানকে সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন রিশার মা।

আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে রিশার সহপাঠীদের বিক্ষোভের মধ্যে ৩১ অগাস্ট নীলফামারীর ডোমার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওবায়েদুলকে।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওবায়েদুল (৩০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, প্রেমের প্রস্তাবে রিশা রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করেছিলেন তিনি।

গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়েদুলকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন।

অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। এদের মধ্যে চারজন রিশার সহপাঠি।

গত ১৭ এপ্রিল একমাত্র আসামি ওবায়েদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত পরিবর্তন হল।