‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’

‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’ স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করেছে বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2017, 02:11 PM
Updated : 31 May 2017, 02:11 PM

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান ‘প্রজ্ঞা’।

সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১৬৯টি প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে।

“যার মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগজনিত অকালমৃত্যু এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস অন্যতম। প্রতিবছর ১ লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু, প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের পঙ্গুত্ব এবং তামাকের অন্যান্য বহুমাত্রিক ক্ষয়ক্ষতি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে এসডিজির তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা কাঙ্ক্ষিত সময়ে অর্জন করা সম্ভব হবে না।”

প্রজ্ঞা বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর মাসিক খরচের ৫ শতাংশ তামাক ব্যবহারে এবং  ১০ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর পরিমাণ বছরে ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এই মৃত্যুভারের ৮০ ভাগই বহন করতে হবে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রজ্ঞা জানায়, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে তামাক চাষের জমি তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে প্রায় এক কোটি নারী।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে বড় হুমকি তামাক। তবে আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তামাকজনিত বাধা অপসারণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যেই এসডিজি অর্জন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরে তামাক ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালন করে আসছে।