বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে রুশ ও সৌদি দূতাবাসের সামনে সড়ক ও ফুটপাতের নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সরানোর কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আনিসুল বলেন, “৪ হাজার বাস নামানো সহজ কথা নয়। তবে আমরা গত দেড় বছরে হোমওয়ার্ক করে এনেছি। আমি আশা করি ঘটনাটি ঘটবে। যদি সবকিছু ঠিকমতো করতে পারছি এ বছর তো আমরা কিছু বাস নামাতে পারবো।”
এবিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
“২০০ জনের মতো লোক ঢাকার গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি যে, আসেন আমরা হোল্ডিং কোম্পানি করি। হোল্ডিং কোম্পানি আমরা ৬-৭টা করার চেষ্টা করছি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এভাবে গণপরিবহন পরিচালনা করা হয়।”
এসব কোম্পানির হাতে গেলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেন আনিসুল বলেন, “বাস স্টেশনে দাঁড়াবে, যাত্রীদের হাত ধরে টানাটানি করবে না।
“একজন বাস মালিকের বাস যদি সারা দিনে একজন প্যাসেঞ্জারও না পায়, অন্য বাস যদি বেশি পায় তাহলে তার প্রফিট ইকুইটি শেয়ার অনুযায়ী হবে।”
রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে অভিযান চলার মধ্যে বুধবার এক অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগে ঢাকায় নতুন করে ৪ হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনার কথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এবিষয়ে বিষয়ে পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ২৬টি বৈঠক হয়েছে জানিয়েছে আনিসুল বলেন, “সবাইকে রাজি করানো কঠিন ছিল। কারণ এর পেছনে হাজার কোটি টাকার ব্ল্যাক মানি কাজ করছে।
“যারা এটা করছেন, উনারাই বলেন- ভাই, অনেক লোকের অনেক স্বার্থ আছে, যেটা বাংলাদেশে থাকে। আমরা বলেছি, তাদের স্বার্থ বেশি না দেশের স্বার্থ বেশি? মানুষ ভুগছে; আসুন আমরা সবাই মিলে কিছু একটা করি।”
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে রুশ দূতাবাসের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে ব্লক অপসারণ শুরু করে উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
আলোচনার ভিত্তিতেই এটা করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র আনিসুল বলেন, “আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ফুটপাত সাধারণ মানুষের হাঁটার জন্য। দূতাবাসগুলো শুধু ফুটপাত নয়, রাস্তার জায়গায় ব্লক বসিয়েছিল।”
“তারা জানেই না এখানে এতো ফিট রাস্তা হতে হবে। চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশন দূতাবাসের সামনে ব্লক বসিয়ে দেবে।তবে এটা এমনভাবে করা হবে যে ব্লকও থাকবে, মানুষও হাঁটবে।”
দু-একটা দূতাবাস ছাড়া প্রায় সবগুলো ফুটপাত ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।