শুনানি শেষে সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন।
ফলে পারভেজকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান গত ১৮ মার্চ পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন হেফাজতের আবেদন করেছিলেন।
আদালত ওই দিন তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার দিন রেখেছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এ মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগেও আসামি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বাচ্চু রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
কিন্তু আসামি প্রভাবশালী এবং তাকে জামিন দিলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে আশংকা করে তদন্ত কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করেন।
জামিন আবেদনে আজিজুল ইসলাম বলেন, মাসুদ পারভেজ স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার খ্যাতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিচালনা কমিটির কিছু সদস্য এবং অন্যরা মিলে তাকে ফাঁসিয়েছে। তিনি পরিস্থিতির শিকার।
দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন দুটি আবেদনই নাকচ করে দেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন পারভেজ।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় মামলা করলে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।