আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সরাসরি তদন্তের ক্ষমতা চেয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
Published : 12 Jan 2017, 11:29 PM
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের ভবনের জন্য একটি জায়গা এবং সেখানে ভবন নির্মাণ, পরিবহনসহ অন্যান্য সুবিধা চাওয়ার পাশাপাশি রিয়াজুল হক কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও।
তিনি বলেন, “কোনো পাবলিক সার্ভেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে আমরা সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করতে পারি। শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সেটা পারি না।
“আমাদেরকে সরকারের কাছে প্রতিবেদন চাইতে হয়। আমরা সরাসরি তদন্তে যেতে পারছি না। সেই জায়গাটাকে আমাদের রিভিজিট করতে হবে।”
আইন সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কোনো ঘটনায় আমরা যখন কোনো প্রতিবেদন দেব, সেটা যাতে যথাযথ মর্যাদা পায়, সে বিষয়টাও আইনের মধ্যে আনতে হবে।”
অর্থমন্ত্রীর কাছে কমিশনের জন্য নিজস্ব ভবন ও জমি চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিয়াজুল হক।
জনবলের অপ্রতুলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৬ কোটি মানুষের দেশে মানবাধিকার কমিশনের জনবল মাত্র ৪৮ জন। এরমধ্যে ১৬ জন বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অবদান রাখতে পারবে, বাকি সব সাপোর্ট স্টাফ। এত অল্প সংখ্যক মানুষ দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমাদের পক্ষে তদারকি করা সম্ভব হয় না।”
জনবল বাড়ানোর একটি প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যাতন। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চেয়েছেন তিনি।
বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রিয়াজুল হক বলেন, “২০১৬ সাল গোটা বিশ্বের জন্য মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো ছিল না। বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম না।
“আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার একটা প্রতিফলন বাংলাদেশে এসে পড়েছে।”