ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই ইউএনওকে প্রত্যাহারের আদেশ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এর আগে নাসিরনগর থানার ওসি আব্দুল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
এক হিন্দু যুবকের ফেইসবুকে পাতায় ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ওই যুবককে পুলিশ আগের দিন গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালেও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্যানারে ৩০ অক্টোবর প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। ওই সমাবেশ চলার মধ্যেই হিন্দু পাড়ায় হামলা হয়।
আহলে সুন্নাতের ওই সমাবেশে ইউএনও ও ওসি দুজনই উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
তবে আহলে সুন্নাতের নেতারা তাদের দায় অস্বীকার করে পুরো ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। হামলা না ঠেকিয়ে তাদের সমাবেশে ইউএনও মোয়াজ্জাম ও ওসি কাদেরের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
৩০ অক্টোবরে ওই হামলার পর পুলিশ পাহারার মধ্যেও পাঁচদিন পর গত শুক্রবার আবার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরে অগ্নিসংযোগ হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জোরদার হয়। তার দুদিনের মধ্যে ইউএনও মোয়াজ্জামকে সরিয়ে দেওয়া হল।