এইচএসসি: নম্বর জানা যাবে ফলের পরদিনই

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আগামী শুক্রবার থেকে জিপিএ’র পাশাপাশি কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছেন তা জানতে পারবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2016, 01:21 PM
Updated : 18 August 2016, 01:38 PM

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। বেলা ২টা থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd/) থেকে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

এবার থেকে জিপিএর সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরও জানিয়ে দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

ফল ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা জিপিএ’র সঙ্গে নম্বর জানতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মাহবুবুর বলেন, “কাল (বৃহস্পতিবার) জানতে পারবে কি না এখনও সেটা নিশ্চিত করতে পারছি না, তবে পরশু (শুক্রবার) থেকে জানতে পারবে সেটা নিশ্চিত।”

তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করে জিপিএ’র পাশাপাশি সব বিষয়ের নম্বর জানা যাবে। আর অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে থাকবে মোট নম্বর।

“ওয়েবসাইটে ট্রান্সক্রিপ্টের মত করেই সব বিষয়ের আলাদা নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও জিপিএ থাকবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে তাও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।”

ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখনও নম্বর ‘লোড’ শেষ করতে পারেনি জানিয়ে মাহবুবুর বলেন, “অন্য বোর্ডের এত ঝামেলা নেই, তারা কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেও দিতে পারে। তবে বুধবার রাতে সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে বসে বিষয়টি চূড়ান্ত করব।”

২০০১ সাল থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বরভিত্তিক সনাতন পদ্ধতির ফল প্রকাশ বাতিল করে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়।

আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের পাওয়া নম্বর যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ নির্ধারিত হত। সব বোর্ডের সেরা ২০ শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রকাশ করত সরকার।

কিন্তু জিপিএ পদ্ধতিতে নির্ধারিত সীমার নম্বর অনুযায়ী কয়েকটি গ্রেড করা হয়; প্রতি গ্রেডের বিপরীতে রাখা হয় একটি নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট। আর সব বিষয়ে গ্রেড পয়েন্টের গড় করে নির্ধারিত হয় একজন পরীক্ষার্থীর ফল।

ট্রান্সক্রিপ্টে বিষয়ের বিপরীতে শুধু গ্রেড পয়েন্ট থাকায় বিষয়ভিত্তিক ও মোট নম্বর- কোনোটাই জানার সুযোগ ছিল না।