অপর দুজন হলেন- গিয়াসউদ্দিনের ভাগ্নে আলম চৌধুরী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গিয়াসউদ্দিনের ফ্ল্যাট দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
আট দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
আদালতে তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আবারও তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে।”
পুনঃরিমান্ডের আবেদন না থাকায় শুনানি শেষে মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ জুলাই গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ হামলাকারীসহ ছয়জন নিহত হন।
ওই হামলাকারীরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট এবং শেওড়াপাড়া এলাকার একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে।
বসুন্ধরার ওই ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ-সাউথের উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসান; ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন গিয়াস উদ্দিনের ভাগ্নে আলম ও ভবনের ব্যবস্থাপক তুহিন।
গত ১৬ জুলাই গিয়াসউদ্দিন, আলম ও তুহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই রাতেই পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ায় জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়া বাসার মালিক নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল পেশায় স্কুল শিক্ষক ছিলেন বলে তার আইনজীবী সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন।
গত ১৭ জুলাই নুরুলসহ চারজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আট দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক।
ওই দিন এই চারজনের পক্ষে আইনজীবী থাকলেও মঙ্গলবার শুনানিতে আসামিপক্ষে পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক রণপকুমার ভক্ত জানান।
এই তিনজনের সঙ্গে নুরুল ইসলামের আট দিনের রিমান্ড হলেও তিনি অসুস্থ হওয়ায় ২০ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরইমধ্যে গিয়াসউদ্দিনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।