সচিবালয়ে রোববার ‘বিদেশীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
ইনু বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোনো অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। এ ব্যাপারে তাদের কোনো আইনগত অধিকারও রাষ্ট্র দেয়নি বা সমর্থনও করে না।
“কেউ যদি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বা আইনবহির্ভূত কোনো কাজে জড়িয়ে পড়ে তবে তার যথাযথ তদন্ত হয়, বিচার হয় ও দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হয়। র্যাবের আটশর বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
কোন কোন অপরাধে এসব র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাইকে বিচারবহির্ভূত কাজের জন্য নয়, আইনবহির্ভূত কাজের জন্য যেমন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি পদক্ষেপের আওতায় আসা র্যাব সদস্যদের তালিকা পাওয়া যাবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্নেল, ওসি, এডিশনাল এসপি, এসপি কাউকে ছাড় দিচ্ছি না আমরা। সেদিক থেকে মনে করি ক্রমাগত আইনের শাসনের দিকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি।
“বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত থাকলে সরকার তা সমর্থন করে না।”
বাংলাদেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের’ ঘটনাকে ‘সবচেয়ে বড় মানবাধিকার সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সরকার বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাতেই সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তথ্যমন্ত্রী ইনু।
তিনি বলেন, “আইনের শাসন কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয় না। গণতন্ত্রে সব মতের জায়গা রয়েছে, জঙ্গিদের নেই। স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমেও উস্কানি, মিথ্যাচার, খণ্ডিত তথ্য ও পীত সাংবাদিকতার কোনো জায়গা নেই।
“যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রিপোর্টটিতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক প্রতিফলন হয়নি। রিপোর্টটিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে, ফলে সঠিক চিত্র উঠে আসেনি।”
এই প্রতিবেদনটি আরেকবার যাচাই করতেও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে ‘ভুল’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে ইনু এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।