ক্যান্সারের কাছে হার মেনে রোববার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেছেন, শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দিতির অবদানের কথা স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই অভিনেত্রীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও প্রকাশ করেন।
দিতির ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকার চলচ্চিত্রে পা রাখা দিতে পরবর্তী এক দশক অভিনেত্রী হিসেবে ঢালিউড শাসন করেন দিতি।
১৯৮৭ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘আমিই ওস্তাদ’, ‘দুই জীবন’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, দয়ামায়া’, ‘আত্মবিশ্বাস’, ‘ভাইবন্ধু’ ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘প্রেমের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’ ইত্যাদি।
নায়িকা অধ্যায় অবসানের পর চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করে যান দিতি। তার মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘সুইটহার্ট’।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি নাটকেও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন দিতি। উপস্থাপনা করতেন রান্না বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানও।