ল্যাবএইডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা       

অনুমোদনহীন ওষুধ রাখার দায়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2015, 04:00 PM
Updated : 6 Dec 2015, 09:08 PM

রোববার বিকাল ৫টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধানমণ্ডিতে হাসপাতালটিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাব-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ল্যাবএইডে অভিযানে অনুমোদনহীন ২৬ ধরনের ওষুধ জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে এন্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জেকশন রয়েছে। এসব ওষুধের আনুমানিক মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি।

“বিদেশি ওষুধের নামে অনুমোদনবিহীন নিম্নমানের এই সকল ওষুধ ড্রাগ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক পরীক্ষিত ও অনুমোদিত নয়,” বলা হয়েছে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

অনুমোদনহীন ওষুধ রাখায় ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ফিরোজ আহমেদ।  

এছাড়া রোগীদের ভেজাল ওষুধ সরবরাহের দায়ে ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে ফিরোজ আহমেদ জানান।

ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম শামীম

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক আলী হোসেন ল্যাবএইডে রোগী দেখেন। তার সহকারী নজরুল ইসলাম ভারত থেকে আসা হিস্টামিন জাতীয় ওষুধের মিক্সার তৈরি করে খালি বোতলে ভরে উচ্চ দামে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

“এজন্য তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

নজরুলের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

হাসপাতালে অনুমোদনহীন ওষুধ রাখার বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

ল্যাব এইডের এজিএম (কর্পোরেট কমিউনিকেশন) সাইফুর রহমান লেলিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জীবনরক্ষাকারী যেসব ওষুধ জব্দ করা হয়েছে তার অধিকাংশই দেশে উৎপাদিত হয় না।

“আর যারা এসব ওষুধ আমদানি করে থাকে তাদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজ থাকার পরেও র‌্যাবের টিম তা দেখতে চায়নি।”

আগের দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেইটে অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে এসপি হাসপাতাল ও আল-রাজী হাসপাতালকে প্রায় ২০ লাখ জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় ফার্মগেইটের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধও করে দেওয়া হয় ওই দিন।