নম্বর রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ আগামী বছরই

গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ (এমএনপি) করে দিতে এ সংক্রান্ত নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2015, 12:22 PM
Updated : 21 Sept 2015, 12:22 PM

আগামী বছরের শুরুতেই গ্রাহকরা এ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমএনপি চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন দিয়েছে।”

মঙ্গলবার মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এমএনপি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নীতিমালা অনুসারে এমএনপি চালু করতে দরপত্র আহ্বান করা ও অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করতে সময় প্রয়োজন হবে। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহকরা এমএনপি সেবা পেতে শুরু করবেন।”

গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারানা হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দিলেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।

মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সুবিধা চালু করতে বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিদায়ী চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।

এমএনপি সুবিধা চালুর বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বিটিআরসি এই বিদায়ী প্রধান।

নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালে জুনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

অপারেটরদের টু-জি লাইসেন্স নবায়নের সময় গাইডলাইনে অপারেটররা মিলে এমএনপি চালু করবে বলে লেখা ছিল। কিন্তু অপারেটররা সঠিক সময়ে এমএনপি চালু করতে পারেনি।

এরপর বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে এমএনপি চালু করতে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে দেওয়া হয়। সরকারের কাছে অনুমোদিত হয়ে এলে এটির জন্য টেন্ডার ও লাইসেন্স এবং  লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান বিষয়টি অপারেট করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

২০১৩ সালে অপারেটরদের এমএনপি সুবিধা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। সাত মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে হবে।

আর এ নির্দেশনা জারির তিন মাসের মধ্যে অপারেটরদের এমএনপি সেবা শুরু করার জন্য একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতেও বলা হয়েছিল। প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড উভয় ধরনের গ্রাহকই এমএনপি সুবিধা পাবে বলে বলা হয়েছিল।

দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে মোবাইল নম্বর একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় রূপে পরিণত হয়। আবার বিভিন্ন অফার আর ভালো নেটওয়ার্ক এবং সুলভ মূল্যে টেলিযোগাযোগ সেবা পেতে প্রায়ই গ্রাহকদের এক অপারেটরকে বাদ দিয়ে অন্য অপারেটররের সংযোগ নিতে হয়।

এ অবস্থায় গ্রাহকের ক্ষমতায়নের জন্য পোস্টিং সার্ভিস প্রচলন এবং পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ে নির্দেশনাবলী প্রণয়ন করতে বিটিআরসি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে অপারেটরদের ওই নির্দেশনা দেয়।

বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিষেবা চালু রয়েছে।